পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর পটভূমি
“পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে একটি নির্মিতব্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে গত ১২ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সনের ০২ নং আইনে “পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত আইনটি ৩০ চৈত্র, ১৪২৮ মোতাবেক ১৩ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে মাহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে এবং এ আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য ১৩ এপ্রিল, ২০২২ তারিখ, বুধবার বাংলাদেশ গেজেটে (অতিরিক্ত সংখ্যা) প্রকাশ করা হয়। “পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনকল্পে প্রণীত আইনটি ২০২২ সনের ০২ নং আইন নামে স্বীকৃত। “পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিবিপ্রবি)” এর প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ৩৭.০০.০০০০.০৭৬.১১.০০২.২২.১৬১ সংখ্যক স্মারক মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ও সমতা অর্জনের প্রয়াসে এবং জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে আধুনিক জ্ঞানচর্চায় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে পিরোজপুর জেলায় “পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করা হয়। পিরোজপুর শহরে সাময়িকভাবে তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একই সাথে দাপ্তরিক যোগাযোগ তরান্বিত করার লক্ষ্যে ঢাকায় মিরপুরে একটি লিয়াজোঁ অফিস খোলা হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় “ পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করবে বলে সবার প্রত্যাশা।